সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ: ৩/১৪১)
হাদিসে আছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের একতৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
হাদিসে আরও আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে সকালবিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তা তাকে বালামুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করে তাতে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সূরা ইখলাসের বিশেষ একটি আমল
কেউ যদি শুক্রবারে নির্জনে বসে এক ধ্যানে, সূরা ইখলাস ৪৯৯ বার পড়ে আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করে দিবেন,নেক আশা গুলা পূর্ণ করে দিবেন,জীবনে তার কোন কিছুর অভাব হবে না
সুরা ইখলাসের অর্থ
বলো, তিনি আল্লাহ (যিনি) অদ্বিতীয়।
আল্লাহ সবার নির্ভরস্থল।
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি।
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।