15 Free YouTube subscribers for your channel
Get Free YouTube Subscribers, Views and Likes

অখন্ড বাংলার অজানা ইতিহাস - Akhand Bangla - The Untold Story of United Bengal u0026 Indian Border

Follow
The Bengali 🇧🇩

akhand bharat,akhand bangla,অখন্ড বাংলা বনাম অখন্ড ভারত,অখন্ড বাংলা,অখন্ড ভারত,india,bangladesh,akhand bangladesh

আসাম যে ভাবে ভারতের হয়, ত্রিপুর ভারতের অংশ, রাখাইন রাজ্য, বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, বাংলার অংশ, কলকাতা বাংলাদেশের অংশ, আসাম বাংলাদেশের অংশ, 1947 india, ভারত ভাগ, বঙ্গভঙ্গ, history of greater bangladesh, history of bengal,
Don't forget to SUBSCRIBE for more incredible scenic videos!
========================
প্রাচীন বঙ্গদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী মানব সম্প্রদায়ের একতাবদ্ধ জাতি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ধারণাকে অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা বা বৃহত্তর বাংলাদেশ বলা হয়ে থাকে, যাদের ইতিহাস অন্ততঃ চার হাজার বছর পুরোনো।

যুক্তবঙ্গ: একটি ঐক্যবদ্ধ স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্রের প্রস্তাব
*যুক্তবঙ্গ* একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব ছিল, যার লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার সকল বাঙালি ভাষাভাষী মানুষকে একত্রিত করে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করা। এই ধারণার পেছনে ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ, যা ভাষা, সংস্কৃতি, এবং ঐতিহ্যের ভিত্তিতে বাঙালিরা একটি সংহত জাতিসত্ত্বায় পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিল। প্রখ্যাত বাঙালি নেতা মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এবং শরৎচন্দ্র বসু সহ আরো অনেকেই এই প্রস্তাবের সমর্থনে ছিলেন। তারা বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংহতির স্বপ্ন দেখেছিলেন। যদিও এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি, এটি বাঙালি জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে রয়ে গেছে।

বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং এর উৎপত্তি
বাঙালি জাতীয়তাবাদ একটি রাজনৈতিক মতবাদ, যা বাঙালি জাতির একটি স্বাধীন জাতিসত্ত্বা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে। বাঙালিরা প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে একটি বিশিষ্ট জাতিসত্ত্বায় পরিণত হয়েছিল, যার ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য ছিল সমৃদ্ধ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ মূলত ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন চলাকালে এই জাতীয়তাবাদ আরও তীব্র হয়ে ওঠে, কারণ ব্রিটিশ শাসনের প্রভাব বাঙালি সমাজে বিভাজন এবং শোষণের সৃষ্টি করে।

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব বাঙালি সমাজে পরিবর্তনের সূচনা করে। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে বাংলার অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, এবং প্রশাসনিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়। বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান এবং আধুনিক শিক্ষার প্রসার বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯শ শতাব্দীতে বাংলার সমাজ সংস্কারকরা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ঘটাতে সক্ষম হন, যার মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি দৃঢ় হয়।

অবিভক্ত বাংলা: একটি সম্ভাব্যতা
বাঙালিরা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি দীর্ঘকালীন সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের একটি সম্মিলিত জাতিসত্ত্বায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিল। ১৯৪০এর দশকের শুরুতে, যখন ব্রিটিশরা ভারত থেকে তাদের শাসন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন বাঙালি নেতারা বাংলার জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য ছিল ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের ভিত্তিতে বাংলা অঞ্চলকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করা।

শরৎচন্দ্র বসু এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলার পক্ষে জোরালোভাবে প্রচারণা চালান। শরৎচন্দ্র বসু প্রস্তাব করেন যে, একটি সমাজতান্ত্রিক অবিভক্ত বাংলা প্রজাতন্ত্র গঠন করা উচিত, যা ভারত বা পাকিস্তানের অধীনে থাকবে না। তিনি মনে করতেন, বাংলার জন্য একটি স্বাধীন রাজনৈতিক কাঠামো প্রয়োজন, যাতে বাঙালিরা নিজেদের ভাগ্য নিজেরা নির্ধারণ করতে পারে।
অন্যদিকে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও অবিভক্ত বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন, তবে তার প্রস্তাবটি ছিল ভারত বা পাকিস্তানের সাথে যুক্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত অবিভক্ত বাংলা। তার প্রস্তাবটি ছিল এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বাঙালি হিন্দু এবং মুসলিমরা একসাথে একটি স্বাধীন রাজ্যে বসবাস করতে পারবে। ১৯৪৭ সালের ২৬শে এপ্রিল লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সাথে আলোচনা করার সময় সোহরাওয়ার্দী অবিভক্ত বাংলার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। মাউন্টব্যাটেন এই প্রস্তাবে কিছুটা সহানুভূতি দেখান এবং সোহরাওয়ার্দীকে আরও সময় চেয়ে নিতে বলেন।

আজকের বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উভয়ই ঐতিহাসিকভাবে যুক্তবঙ্গ প্রস্তাবের অংশ ছিল। যদিও রাজনৈতিকভাবে দুটি পৃথক রাষ্ট্র, সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগতভাবে তারা এখনও বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শ বহন করে চলেছে। যুক্তবঙ্গ প্রস্তাব ব্যর্থ হলেও এর প্রভাব বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে অমোচনীয় থেকে গেছে।

যুক্তবঙ্গ প্রস্তাব ইতিহাসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে রয়ে গেছে, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ভাষা, সংস্কৃতি এবং জাতীয় পরিচয় কখনোই সীমারেখায় আবদ্ধ নয়।

–তথ্যসূত্রঃ বাংলা ঊইকিপিডিয়া

#UnitedBengal
#IndiaBangladeshBorder
#HistoricalBorders
#IndiaBangladeshConflict
#BengalHistory
#BorderTensions
#IndiaBangladeshRelations
#TerritorialDispute
#SouthAsiaHistory
#BangladeshIndia


বাংলার ইতিহাস, india bangladesh,বৃহত্তর বাংলাদেশ, west bengal, bangladesh, india,ভারত, bharat, bangla news, assam bangladesh, tripura, আসাম, siraj uddaulah, মাওলানা ভাসানী, mawlana bhashani, punjab, pakistan, assam,

posted by electrosuenodm