#gulmargkashmir
My Instagram Id : / mdfizz02
For Business Gmail [email protected]
Bangladesh To India 560 Taka • Video
Kolkata To Kashmir Rs 750 • Video
Kolkata To Delhi Rs 650 • Video
India To Bangladesh Rs30 • Video
কাশ্মীরে আসার পরেই প্লান করি সর্ব প্রথম আমরা যাবো গুলমার্গ তবে এবার আমি একা নয় আমার সাথে আছে বাংলাদেশের আরও ৪ জন।
তাই সকাল ৬ টাই ঘুম থেকে উঠেই ডাল গেটে চলে আসি মনে রাখবেন কাশ্মিরের যেখানেই যান নাহ কেনো সব গাড়ি গুলো ডালগেটে থেকেই পাবেন।
তবে গুলমার্গ সনমার্গ এই স্পষ্টে গেলে অবশ্যই আপনাকে ভোরে উঠতে হবে তাহলে বেশি দেরি করলে যেতে আসতে অনেক রাত হয়ে যাবে।
তাই আপনারা যখন কাশ্মিরে আসবেন ডাল গেট থেকেই গুলমার্গের গাড়ি পাবেন যদি শেয়ারে যান তাহলে ৪০০৫০০ রুপিতে জন প্রতি যেতে পারবেন(সারাদিনের জন্য)
যেহেতু আমরা পাচ জন তাই ২৩০০ রুপিতে সারাদিনের জন্য গাড়ি রিজার্ভ করি জন প্রতি ৪৬০টাকা করে পরে যা খুবই সামান্য।
সকালে কোনো রকম চা পাউরুটি খেয়ে রওনা হলাম গুলমার্গের উদ্দেশ্য যেহেতু কাশ্মীরে এটা দিয়ে আমার তৃতীয় বারের মত ভ্রমণ তাই সব রাস্তা ঘাট আমার চেনা তাই সাথে থাকা সবাইকে নিজেই গাইড করছিলাম।
যাইহক ডাল লেক থেকে গুলমার্গের দূরত্ব 6০ কিলোমিটার সময় লাগে ২ ঘন্টা।
যাওয়ার পথেই দেখতে পাবেন কাশ্মিরিদের শহর গ্রাম অন্চল, তবে ড্রাইভার যদি ভাল হয় তাহলে সেই আপনাদের সবকিছু গাইড করতে করতেই যাবে।
তাই ড্রাইভারের দিকটি বিবেচনা করেই গাড়ি রিজার্ভ করবেন যে একটু মিশুক রশিক তাকে সিলেক্ট করবেন তাহলে আপনাদের জন্য আরও সুবিধা হবে।
এরপর আমরা ৪৫ কিলোমিটার জার্নির পর টাঙ্গমার্গে নামি কারন সেখানেই ঠান্ডার পোষাক রেন্ট পাওয়া যায়,,আপনি চাইলে এখান থেকে জুতা জ্যাকেট হাত মোজা সবকিছুই ভাড়ায় পাবেন, তবে অবশ্যই আসার সময় তা ব্যাক দিতে হবে। কিন্তু হ্যা এখানে অনেক সময় সিন্ডিকেটের হাতে টুরিস্টরা হেরেজমেন্টের শিকার হয় আমাদের গাড়ি আসার সাথে সাথেই কিছু দোকানদার দাবি করে এই গাড়ির নাম্বার নাকি তাদের দোকানের সিরিয়ালে রয়েছে তাই তাদের দোকান থেকেই আমাদের সবকিছু রেন্ট নিতে হবে,, তবে তাদের দামটাও ছিল চড়া যদিও আমি কাশ্মিরের সবকিছু খুব ভালভাবে জানি তাই তাদেরকে এবোয়েড করে নিজের পছন্দের দোকানে দামদার করে জুতা রেন্ট নি তাই আপনারা কখনোো ঘাবরাবেন নাহ মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের পছন্দের মত সব কিছু নিবেন।
জুতা ভাড়া ৫০ রুপিতেও পাবেন সর্ব্বোচ্য ১০০ রুপি জ্যাকেট সর্ব্বোচ্য ১০০ তবে আরও কমে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আমরা ১২৫ রুপিতে জুতা সাথে মোজা ভাড়া নি।
পাঁচ জনের আলাদা আলাদা তবে শীতের সময় এটা লাগবেই যেহেতু প্রচন্ড তুষারপাত হয় সাথে বড়ফের মত ঠান্ডা।
যাইহক, টাঙ্গমার্গ থেকে গুলমার্গের পাহাড়ি রাস্তা শুরু সবুজ তৃনভূমি পাইন গাছের মধ্যদিয়ে আকাবাকা রাস্তা যা গুলমার্গের আসল সৌন্দর্য।
তবে এমন ঘন পাইন ট্রি ও দেবদারু জঙ্গল যেখানে অনেক ভয়ানক প্রানীর বসবাস।
আপনার ভাগ্য ভাল হলে অনেক সময় ভাল্লুক লে পার্ড কে রাস্তায় দেখতে পাবেন।
তবে এখানকার রাস্তাগুলো এতটাই বাকানো যে অনেক সময় মাথা ঘোরা বুমি অক্সিজেনের সমস্যা হতে পারে।
তাই অবশ্যই সাথে করে ঔসুধ আনতে ভুলবেন নাহ।
এরপর আমরা সকাল ১০ টায় পৌঁছায় গুলমার্গে ,
আমরা গুলমার্গে কেবল কারের টিকিট কাটতে এসে জানতে পারি অফলাইনে কোনো কিকিট বিক্রি করা হয় নাহ যা নাকি একবছর আগে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে নতুন নিয়ম চালু করেছে এখানকার কর্তিপক্ষ এছারা এতটাই চাপ যে আপনাকে এক মাস আগে থেকে ক্যাবল কারের টিকিট কাটতে হবে নাহলে পাবেন নাহ।
তাই আমরা অনেক চেষ্টা করেও বের্থ হয় তাই অবশ্যই আপনারা কাশ্মিরে আসার আগে অনলাইনে গন্ডলা রাইড মানে কেবল কারের টিকিট কেটে আসবেন
গন্ডলা রাইডের দুইটি স্টেপ রয়েছে প্রথম স্টেপ ৭৫০ রুপি ভাড়া আর যদি একদম উপরের পাহাড়ে যান তাহলে ৭৫০+ আরও ৯৫০ টোটাল ১৭০০ রুপি।
যাইহক যেতেতু টিকি পাই নাই তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৫ কিলোমিটার ভয়ানক পাহাড়ি পথ ট্রেকিং করেই যাবো তাতে অবশ্য সবাই রাজি হয়।
আমার জীবনে এটাই প্রথম পাহাড় ট্রেকিং করা তাই খুবই নার্ভাস ছিলাম এমন খারা পাহাড় অতিক্রম করে কিভাবে পৌছাবো বড়ফের রানীর কাছে?
যা দেখার জন্য মনটা ছটফট করছিল আপনারা চাইলে একই ভাবে যেতে পারবেন
ট্রেকিং করার সময় পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন যা আমাদের কারও কাছেই ছিল নাহ তাই পাথের মাঝেই এমন ঝর্ণার পানি দেখে দৌড়ে যায় কারন এতটাই পানি পিপাশু লেগেছিল যা বলার মত নয়।
তবে এই পানি গুলো আসে উপরের বড়ফ গলে যা পচন্ড ঠান্ডা এবং স্বচ্ছ পানী এখান কার লোকাল মানুষেরা পান করে থাকে।
তাই আপনারা যখন ট্রেকিং করবেন সাথে পানী খাবার বিস্কুট এগুলো ক্যারি করবেন।
যাইহক এরপর আমরা আবারও রওনা দি এমন খারা পাহাড় উঠা সত্যি কঠিন তবে রোমান্টিকও বটে।
যাইহক প্রায় দুই ঘন্টা ট্রেকিং করে পৌছালাম গুলমার্গের বরফে যা ছিল সত্যি অসাধারণ সাধা দুধের মত দেখতে ছিল বরফগুলো।
উপরে এসে দুপুরে হালকা ম্যাগি যার দাম ২০০ সাথে সুপ ৩০০।
দুপুরে হালকা নাস্তা করেই গুলমার্গের অপুরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়।
এখানে ফ্যামিলি বন্ধ বান্ধব সবাই এসে একে অপরকে বড়ফ ছুরে মারে।
মনে হয় যেন সবাই তাদের শৈশব ফিরে পেয়েছে।
স্কেটিং, স্কুটার, প্যারাগ্লাইডিং ইত্যাদির মত জনপ্রিয় সব খেলা খেলা যায় এখানে।
গুলমার্গ ভ্রমনের উপযুক্ত সময় মার্চ – নভেম্বর। এটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় রূপ নেয় গ্রিন ভিউ এ যারা স্নোফল দেখতে কাশ্মীর যেতে চান তাদের জন্যে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি উত্তম। কারন এ সময়টায় কাশ্মীরে সব থেকে বেশী তুষারপাত হয় তখন উপর থেকে তুষার গায়ে এসে পরে গুলমার্গের তাপমাএা থাকে 10 প্রযন্ত।