The easiest way to skyrocket your YouTube subscribers
Get Free YouTube Subscribers, Views and Likes

স্ত্রী আপনার সংসারে না ফিরলে কিভাবে আইনগতভাবে সমাধান করবেন/দাম্পত্য পূনরুদ্ধার মামলা/Law tips bd

Follow
LAW TIPS BD

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ পেতে ০১৭১৬৮৫৬৭২৮ নম্বরে ৫১০ টাকা বিকাশ করে পরামর্শ নিতে পারবেন। সরাসরি সাক্ষাৎ করে আইনী পরামর্শ নিতে চাইলে ০১৭১৬৮৫৬৭২৮ নম্বরে ১৫৩০ টাকা বিকাশ করে সাক্ষাতের সময়সূচি জেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি থাকে) নিয়ে চেম্বারে আসতে হবে। ঠিকানা: ব্যারিষ্টার দোলন এন্ড এ্যাসোসিয়েটস, প্রেস্টিজ হোমস (১ম তলা), চিটাগাং হোটেলের সামনে, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অথবা প্রামাণিক ল’ চেম্বার, জজ কোর্ট চত্ত্বর, কুষ্টিয়া। This Channel does not promote and encourage any illegal content, illegal activities. The aim and objects of this channel is to create a lawconscious population.

দম্পতি রকি ও মুক্তা (ছদ্মনাম)। বিয়ে হয় পারিবারিকভাবেই। উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়েছে। রকি প্রথম থেকেই স্ত্রীর প্রতি সন্দেহপ্রবণ। অফিস থেকে এসেই মোবাইল ফোন চেক করে। দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করে কেউ বাসায় এসেছিল কিনা। মুক্তা বুঝতে পারছে সে একটা বৃত্তের মধ্যে আটকা পড়েছে। তার সব যৌক্তিক ইচ্ছে, স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তার অধিকার স্বামী কেড়ে নিচ্ছে। ফলে মুক্তার জীবন যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠে। একদিন মুক্তা প্রতিবাদ করতেই স্বামী রকি শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। আর এ ঘটনার জের ধরে মুক্তা চলে যায় বাবার বাড়ি। মুক্তাকে ফিরিয়ে আনতে রকি দ্বারস্থ হয় শশুড় বাড়িতে। কিন্তু কিছুতেই মুক্তা আর ফিরে আসে না।

বিয়ের পর স্ত্রী বাবার বাড়িতে নেয়ারে এসে স্বামীর সংসারে ফিরতে চায় না। আবার স্ত্রীকে নেয়ারে দিয়ে স্বামী আর তার সংসারে ফিরিয়ে নিতে চায় না। এটা আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র। তবে স্ত্রী যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া যদি স্বামীর সাথে বসবাস বন্ধ করে দেয় সেক্ষেত্রে স্বামী দাম্পত্য অধিকার পূনরুদ্ধারের জন্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে। (মুন্সী বজলুর রহিম বনাম সামসুন্নেসা বেগম, ১৮৬৭, ১১ এম.আই.এ. পৃষ্ঠা৫৫১)। এ অবস্থায় অনেকে আবার তালাকও দিয়ে দেন। কিন্তু সেই তালাক কার্যকর হওয়ার আগে পারিবারিক আদালতের অধ্যাদেশ ১৯৮৫এর বলে স্বামী বা স্ত্রীকে দাম্পত্য সম্পর্ক পূনঃপ্রতিষ্ঠা মামলা করতে হয়।

দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে যে পক্ষ মামলাটি করে তাঁকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি স্বচ্ছ মনোভাব নিয়েই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁর জীবনসঙ্গী কোনো কারণ ছাড়াই ঘরে ফিরতে চান না। তবে স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে তালাক প্রক্রিয়া সম্পন্নকালে তালাকের নোটিশ প্রত্যাহার করা না হলে এ মামলা চলে না। (মুলখান বিবি বনাম ওয়াজির খান, ৫৯, পি.লাহ. পৃষ্ঠা৭১০)।

এ মামলায় আদালত বিবেচনা করবেন যে, স্বামী বা স্ত্রী পরস্পরের প্রতি আরোপিত দায়িত্ব পালন করছেন কিনা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর নিষ্ঠুরতার কারণে ঘরে ফেরা সম্ভব নয়। এ রকম হলে তালাক নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী যেসব অধিকার দেওয়া হয়েছে তা প্রমাণ করতে পারলে স্বামী অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

আবার স্বামী যদি স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ সত্য প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আদালত আদেশ বা ডিক্রি জারি করতে পারেন। (মোছাঃ মকবুলান বনাম রমজান, ১৯২৭, ২ লাক. পৃষ্ঠা৪৮২)

তবে স্বামী যদি সমাজচ্যূত কোনো কুখ্যাত সন্ত্রাসী বা মাস্তান হয়, সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর বিরুদ্ধে দাম্পত্য অধিকার মামলা চলে না এবং স্ত্রী স্বামীর ঘরে ফিরতে বাধ্য নয়। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক দেনমোহর পরিশোধ করা না হলে স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য মিলনে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন স্ত্রী। এ ক্ষেত্রে স্বামী যদি দাম্পত্য অধিকার ফিরে পেতে মামলা করেন, তাহলে আনীত মামলাটি নাকচ করা হবে। (রাহিলান বনাম সানাউল্ল্যা, ১৯৫৯, পি.লাহ. পৃষ্ঠা৪৭০)।

আর স্বামীস্ত্রীর ঘরসংসার করার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যদি শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতে বাধা দেয়, তাহলে ফৌজদারি আদালতের আশ্রয় নেওয়া যায়। ফৌজদারী কার্যবিধি, ১০০ ধারার বিধান অনুযায়ী তল্লাশি পরোয়ানার মামলা করে বন্দিদশা স্ত্রীকে থেকে মুক্ত করানো সম্ভব।

তবে এ মামলায় দু’টি ব্যতিক্রম রয়েছে
ক. বিবাহটি স্ত্রীর ইদ্দতকালে অনুষ্ঠিত হলে, দাম্পত্য মিলন ঘটে থাকলেও ¯¦ামী দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য কোন আদেশ বা ডিক্রি পাবে না ।

খ. স্ত্রীর নাবালকত্বকালে বিবাহটি সম্পন্ন হওয়ার পর যদি বৈধভাবে তার বিচ্ছেদ ঘটে থাকে তাহলে স্বামী তার বিরুদ্ধে কোন ডিক্রি পাবে না ।

স্ত্রী নিম্নোক্ত কারণে স্বামীর দাম্পত্য অধিকার পূণরুদ্ধার দাবী অস্বীকার করতঃ বিপরীত দাবী করতে পারে। যথাক্রমে
ক. স্বামীর নিষ্ঠুরতা
খ. স্বামী হতে পৃথক থাকার ক্ষমতা দান
গ. আশু মোহরানা পরিশোধ না করা
ঘ. স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন
ঙ. স্বামীকে সমাজচ্যূতকরণ;
চ. বিবাহের মিথ্যা দাবী সংক্রান্তমামলা
ছ. ওয়াদা ভঙ্গের দাবী ও
জ. স্ত্রী অপহরণ

দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবির ক্ষেত্রে আইনবিদদের মধ্যে রয়েছে দ্বিমত। বিভিন্ন মামলার নজিরেও ভিন্নমত পাওয়া গেছে। এতে অভিযোগ উঠেছে, কেউ যদি স্বাধীনচেতা হন, পূর্ণাঙ্গভাবে আলাদা থাকতে চান এতে সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একতরফা দাবির কোনো সংঘাত হবে কিনা।

১৮ বিএলডি, ১৯৯৮, হাইকোর্ট, পৃষ্ঠা ৩১এ খোদেজা বেগম বনাম মোঃ সাদেক মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ‘দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার স্বামীস্ত্রী উভয়ের জন্য একটি পারষ্পরিক অধিকার। সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদের সঙ্গে এটি বৈষম্যমূলক কিংবা অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’

হোসেন জাহান বনাম মো: সাজাহান মামলায় (১৮ বিএলডি, ১৯৯৮, হাইকোর্ট, পৃষ্ঠা৩২১) বলা হয়, ‘বিনা কারণে যদি কোনো স্ত্রী দাম্পত্য মিলনে অস্বীকার করেন তাহলে স্বামী মামলা করতে পারেন।’
#law_tips_bd
#ল
#congulftulations
#Congeal_life
#দাম্পত্যপূনরুদ্ধার
#লটিপসবিডি
#বিয়ে

posted by estrepdl